৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

Click to rate this post!
[Total: 0 Average: 0]

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন হইয়া থাকে বাংলা,গণিত, ইংরেজি ,সাধারন জ্ঞান এই বই গুলো থাকে ।সরকারি চাকরি করলে ভাল বেতন পাওয়া যায়। বেসরকারী চাকরিগুলো উচ্চ বেতনের হলেও এটা যে কারো জন্যই একটা প্রতিযোগীতামূলক চাকরি। তাছাড়া বেসরকারী চাকরি যেকোন সময় পড়ে যেতে পাড়ে। বেসরকারী চাকরিগুলো পদে পদে হারানোর ভয় থাকে। আর যদি আপনি অফিসের নোংরা রাজনীতির ফাঁদে পড়ে যান তাহলে কাম সারা, শাশুড়ী যেমন নতুন বউয়ের কদমে কদমে দোষ খুঁজে বেড়ান আপনাকেউ ঠিক সেইরকম বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।

বেসরকারী চাকরি করে মাস শেষ যে টাকা পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশী দেহের ঘাম ঝড়ে যায়। অনেকে তো কাজের প্রেসারে এসির মধ্যে থেকেও ঘেমে যান। আমার মতে বেসরকারী চাকরির মতো কঠিন চাকরি আর হয় না ।

বাংলাদেশে সরকারী চাকরি ‘সোনার হরিণ’ । সেটা তৃতীয় শ্রেনীর হোক কিংবা প্রথম শ্রেনীর হোক । এই সরকারী চাকরি চাইলেই আপনি পাবেন না বা পাওয়া যায় না বাংলাদেশে । বেসরকারি চাকরি থেকে সরকারী চাকরিগুলোতে সুযোগ সুবিধা অনেক বেশী বাংলাদেশে । বর্তমানে সরকারি চাকরি পাওয়া বড় মুশকিল ব্যাপার ।
তাই আপনি যদি কোন রকমে আপনার ভাগ্যে একটা তৃতীয় শ্রেনীর চাকরি জুটিয়ে ফেলতে পারেন, আমার মতে বাংলাদেশে এর চেয়ে আকর্ষনীয় চাকরি আর হতেই পারে না। এক কথায় বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর চাকরির প্রস্তুতি:

সরকারি তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির প্রস্তুতির আগে আপনাকে যোগ্যতা অনুযায়ী কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বা কোন গ্রেডের পদে আবেদন করবেন সে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। অনেকে সরকারি ব্যাংকের প্রস্তুতি নেয়। কেউ বিসিএস প্রস্তুতি নেয়। কারো আবার লক্ষ্য থাকে শিক্ষক নিবন্ধন, প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ। অনেকে আবার যেকোন একটা সরকারি চাকরি হলেই হয় এমন মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেন।

(১)প্রথমেই আপনি ৫ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই শেষ করে ফেলবেন। বইয়ের উদাহরণগুলো শেষ করে ফেলবেন। তারপর অনুশীলনীর অঙ্কতে হাত দিবেন।না পারলে স্ক্রিপ্ট করবেননা। বই না পাইলে মোবাইল বা ল্যাপটপে পিডিএফ’র বই পড়বেন।

(২)পাঠ্যবইগুলা শেষ হলে মানসম্মত অন্য গাইডবই থেকেও প্র্যাকটিস করতে পারেন।

(৩) বাংলাদেশে সরকারী চাকরি বিগত সালের প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই সল্ভ করে ফেলুন।

(৪) প্রতিদিন মাথা ঠাণ্ডা রেখে অল্প-অল্প করে প্র্যাকটিস করবেন।প্রতিদিন কিছুটা সময় অঙ্কের জন্য বরাদ্দ রাখুন।

কেন সরকারি চাকরি করতে চায় এবং সুুবিধা:

  1. সরকারি কোয়াটার পাওয়া যায়।
  2. সরকারি চাকরির বেতন স্কেল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  3. সরকারি চাকরির বয়স সীমা শেষ হলে পেশসন পাওয়া যায়।
  4. বিভিন্ন উতসব বোনাস পাওয়া যায়।
  5. সমাজের চোখে আলাদা একটা সম্মান ।
  6. সরকারি চাকরি নিভরযোগ্য একটি কমক্ষেএ।
  7. সকাল থেকে বিকাল পযন্ত কাজ ।
  8. এছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে আরও কিচ্ছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফর্মে ভুল হলে সংশোধন করার উপায় কী?

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্রে ভুল হওয়া নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নাই। যোগদানের সময় সেটা আপনি সংশোধন করে নিতে পারবেন।

সরকারি চাকরি পেতে দৈনিক কত ঘন্টা পড়তে হবে?

নিজের বেসিক পড়তে উন্নত করুন ” ৭-৯ শ্রেনির বইগুলো গনিত, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গ্রামার ভালো করে পড়ুন”
প্রতিদিন ১ টা করে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা লেখা ও পড়ুন।

কিভাবে পরীক্ষার খাতায় প্রশ্ন বানিয়ে লিখব?

প্রশ্নের উত্তর আপনি তখনি বানিয়ে লিখতে সক্ষম হবেন যখন আপনি অই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে গভীর ধারনা রাখবেন। কেউ আপনাকে প্রশ্ন করল আপনার মা কে কেন ভালো লাগে ?

আপনি উত্তর দিবেন আমার মা আমাকে জন্ম দিয়েছে , আমাকে ছোট থেকে বড় করেছে সে ইত্যাদি । তেমনি আপনি যখন প্রশ্ন ফেইস করতে যাবেন চেষ্টা করবেন অই প্রশ্নের উত্তর আপনি আগেই পরেছেন বা অই প্রশ্ন কে নিয়ে আপনি আলোচনা করছেন।

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর চাকরির পরীক্ষার সিলেবাস

৩য় শ্রেণীর চাকরির মাত্র চারটা সাবজেক্ট পড়লেই হবে।

  1. বাংলা
  2. গণিত
  3. ইংরেজি
  4. সাধারন জ্ঞান

তৃতীয় গ্রেডের সরকারি চাকরি টাকা ছাড়া কি সম্ভব?

আপনি যদি মনোযোগ দিয়া পড়াশোনা করেন তাহলে ৩য় শ্রেণীর সরকারি চাকরি টাকা ছাড়া অবশ্যই সম্ভব প্রস্তুতি নেন হয়ে যাবে।

সরকারী চাকরী পাওয়ার জন্য কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন?

১. উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুনঃ

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষনে অনেক ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবেন। কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন নিলে সঠিকগাইড লাইন পাবেন যা আপনার জন্য অনেক ভালো এবং সহজ হবে।

২. যথেষ্ট সময় দিতে হবেঃ

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। কারন সবাই চাইবে চাকরিটা পেতে, তাই তার জন্য দরকার খুব ভাল প্রস্তুতি। আপনার নিজেকে সময় দিতে হবে , পরিক্ষার জন্য ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি পড়াশুনার জন্য একটি রুটিন বা পরিকল্পনা সাজাতে পারেন।

৩. কোন ধরনের চাকরি করবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিন

কিন্তু এটা একটি ভুল ধারনা। অনেকেই হয়তো ভাবেন সরকারি চাকরির সব ক্ষেত্রেই প্রশ্নপত্র ধরন মোটামুটি একইরকম হবে। নির্দিষ্ট চাকরি না দেখে সবগুলোতে দিলে ভুল সিদ্ধান্ত হবে। আপনাকে প্রথমেই বাছাই করতে হবে আপনি কোন ধরনের চাকরি করবেন, কোন ধরনের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিবেন।

কিভাবে লিখলে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায়?

  1. কাটাকাটি করবেন না।
  2. অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখবেন না।
  3. সৃজনশীল (খ, গ, ঘ) ধাপ ধাপ করে লিখার চেষ্টা করবেন।
  4. যা পয়েন্ট করে লিখা যা তা পয়েন্ট করে লিখবেন।
  5. বই এর উত্তর এর প্যাটার্ন ফলো করলেই বুঝতে পারবেন আপনি।
  6. প্রথম ২ / ৩ টা প্রশ্নের উত্তর অনেক ভালো করে লিখবেন কারন আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর ভুল হলে টিচার আপনার পরবর্তী প্রশ্নে ভালো মার্ক দিবে না।

 

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন
৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

 

Read more: 

 

Leave a Comment