পুলিশের চাকরির জন্য কত টাকা লাগে ?

Click to rate this post!
[Total: 0 Average: 0]

পুলিশের চাকরির জন্য কত টাকা লাগে ?

আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন পুলিশের চাকরির জন্য কত টাকার প্রয়োজন। পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আপনার কোন টাকার প্রয়োজন নেই। একটি ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করার পর আমি জানলাম যে, মাত্র 120 টাকা ফি দিয়ে পুলিশে চাকরির জন্য আবেদন করা সম্ভব। আমরা সবাই জানি যে পুলিশের কাজ ১টি সম্মানজনক কাজ। বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর নানারকম স্থানে ক্যাম্প করে পুলিশ মেম্বারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। যেখানে আপনি কয়েকটি স্তর অনুসরণ করে অতিশয় ছাড় খরচে পুলিশের চাকরি পেতে পারেন।

আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি পুলিশের জব নিতে চান। চলুন জেনে নাই পুলিশের জব সম্পর্ক আপনারা অধিকাংশই প্রশ্ন করেছেন একজন পুলিশ অফিসার হতে কত টাকা লাগে।

পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আপনার কোন টাকার প্রয়োজন নেই।একটি ক্যাম্প পরিদর্শন করার পর আমি জানলাম যে, মাত্র 120 টাকা ফি দিয়ে পুলিশে জবের জন্য আপিল করা সম্ভব।আর সেখানে আপনাকে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আপনি সেখানে পাস করতে পারলেই জব পাবেন

পুলিশের চাকরির জন্য আপনার যে যাবতীয় শারীরিক নৈপুন্যতা অর্জন করতে হবে তার ওপর আপনার টার্গেট করা উচিত।অবশ্যই আমরা জানি পুলিশ অনেক শক্তিশালী কাজ করে। এর সাথে তাদের চতুর এবং বহুদর্শী থেকে হবে।তাই নিজেকে উপযুক্ত ও নিখুঁত করার জন্য আপনাকে নিশ্চয়ই প্রথমে হতে প্রস্তুতি নিতে হবে।

পুলিশে জবের যোগ্যতা

আপনাকে সাতটি কঠিন পরীক্ষা ক্লিয়ার করতে হবে। সেসব পরীক্ষা বা যোগ্যতা কি কি নিম্নদেশে উল্লেখ করা হল-

  1. প্রাথমিক স্ক্রীনিং
  2. শারীরিক গণনা ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা
  3. লিখিত পরীক্ষা
  4. মনস্তাত্ত্বিক এবং মৌখিক পরীক্ষা
  5. প্রাথমিক নির্বাচন
  6. পুলিশ ভেরিফিকেশন ও দেহ পরীক্ষা
  7. প্রশিক্ষণে চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তি

পুলিশের জবে নিয়োগ পাওয়ার আগে আপনাকে এই সমুদয় স্তর লঙ্ঘন করতে হবে। আপনার মনে থেকে পারে এগুলো খুবই সহজ কিন্তু তৎকাল পরিকল্পনা না থাকে তাহলে এগুলো আপনার জন্য খুবই দৃঢ় হবে।তাই অবশ্যই অগ্রিম পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু করবেন।

পুলিশ কাজের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?:

 

স্ব-স্ব ভার্সিটি থেকে সত্যায়ন

আপনি ব্যাচেলর/মাস্টার্স এর সনদপত্র ও নম্বরপত্র আপনার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার হতে সত্যায়ন করবেন। উল্লেখ্যঃ কোন কোন বিদেশী ভার্সিটির ক্ষেত্রে সেটা সহকারি রেজিস্ট্রার/কন্ট্রোলার/সহকারি কন্ট্রোলার কর্তৃক করালেও গ্রহণ করে। তাই, অবশ্যই আগে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও এডমিশন অফিসে মেইল করে জেনে নিবেন।

এডুকেশন বোর্ড হতে সত্যায়ন

প্রথমেই আসি এডুকেশন বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট সত্যায়ন। বোর্ড কেবলমাত্র আপনার SSC ও HSC এর সার্টিফিকেট সত্যায়ন করে দিবে। সার্টিফিকেট ও মার্কশীট শিক্ষা বোর্ড থেকে সত্যায়িত করতে হলে কমপক্ষে ৩-৫ দিন টাইম লাগবে। এ সময়ে অরিজিনাল সহ ৪ সেট ফটোকপি সঙ্গে রাখবেন। এইখানে ফি বাবদ ৫০০-৬০০ টাকা হবে। ফি বাবদ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করবেন শিক্ষা বোর্ডের সোনালী ব্যাংক থেকে। তারপর বোর্ড হতে ১টি ফর্ম পূর্ণ করে টাকা জমার রিসিপ্ট সহ আপনার সব ডকুমেন্টস জমা দিবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন

এরপর আসি কেমন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ডকুমেন্টস সত্যায়ন করাবেন।প্রথমে স্বয়ং স্বয়ং ইউনির্ভারসিটি থেকে সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট এর কপি ভেরিফাই করা। উল্লেখ্য যে, প্রাইভেট এবং সরকারী এর নীতি ভিন্ন। জাতীয় ভার্সিটি এর ক্ষেত্রে এটি জানা জরুরী যে কোন কোন সিগ্নেটরির নাম ও সিগ্নেচার Ministry of Education (MoEd) এই এনলিস্টেড। শুধুমাত্র এনলিস্টেড সিগ্নেটরি দিয়েই ভেরিফাই করাবেন, অন্যথায় MoEd এ সংকট করে।

ঢাকায় অধিষ্ঠিত বাংলাদেশ সচিবালয়ে যেতে হবে। সচিবালয়ের গেট নং ০২, কাউন্টার নং ১০ ( যদি পল্টন মোড় থেকে আসতে থাকেন, তাহলে জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে ডানে যেতে হবে )। অরিজিনাল সহ ৩/৪ কপি ডকুমেন্টস সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এইখানে কাগজ-পত্র সকাল বেলা ১১ টা থেকে জমা পড়া আরম্ভ হয় আর বিশেষ কোন প্রবলেম না থাকলে ঐ দিনই বেলা ৩টা বা ৪টার ভিতরে ডকুমেন্টস ফেরত দেয়া শুরু হয়।

বিঃদ্রঃ কারিগরি বোর্ডের ও মাদ্রাসা বোর্ডের ডকুমেন্টস সত্যায়িত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা নিবে না। টেকনিক্যাল বোর্ডের এবং মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে সরণি পরিবহন বিল্ডিংয়ের আট তলায় যেতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন

কাগজপত্র আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জমা দেওয়ার জন্য থেকে পারে সত্যায়নের জন্য। পল্টন মোড় থেকে প্রেসক্লাব মোড় চলে গেলে, প্রেসক্লাবের সঠিক প্রতিপক্ষে রাস্তার সাথেই পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। নিশ্চয়ই জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসর্পোট এর ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

তবে মনে রাখবেন, পর্যাপ্ত শিক্ষানবিশ এই কাজের জন্য লাইনে দাঁড়ায়- এইজন্য সকাল সকাল বেলা এসে লাইনে দাড়ানোই ভালো। ঐ দিনই দুপুর ৩.৩০ এর দিকে ফেরত দেয়া হয়ে যায় সত্যায়িত কপি। বের হবার প্রথমে অবশ্যই দেখে নিবেন সিল, সিরিয়াল নং ও সাক্ষর ঠিকমতো রয়েছে কিনা

এম্বেসী থেকে ডকুমেন্টস সত্যায়নের

এম্বেসী হতে ডকুমেন্টস সত্যায়নের জন্য নিশ্চয়ই আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সেই ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে আনতে হবে। তারপর এম্বেসীতে জমা দিতে হবে- নোটারাইজড করে অনেক টাইম জমা দিতে থেকে পারে- কিন্তু সেটা নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষের উপর। আর এই টাইম ডকুমেন্টস এর অরিজিনাল কপি নিয়ে যেতে ভুলবেন না।

বাইরের দেশের এম্বেসী হতে সত্যায়ন করতে আপনার সেই দেশে অবস্থিত বন্ধু বা আত্মীয়ের সাহাজ্য চাই থেকে পারে। সেক্ষেত্রে প্রধারনত ফি দিতে হয়। একারণে বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আপনি সহজেই কাজ করতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সত্যায়ন

আপনি আপনার নিজ উপজেলা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর অ্যাপ্লাই করবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সাধারণত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়িত হয়েই আসে। তারপরও যদি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা সত্যায়িত না থাকে কিন্তু তা করে নিতে হবে।উল্লেখ্য, অধুনা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনেই আবেদন করা যায় এবং বাসায় বসেই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।

বিস্তারিত জানতে অনলাইনে আবেদনের ফাইলটা পড়তে পারেন

জন্ম নিবন্ধন/ বার্থ সার্টিফিকেট সত্যায়ন

আপনি আপনার উদ্ভব রেজিস্ট্রেশন পল্লব টি প্রথমে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিবেন ( যদি করা না থাকে )। এরপর সেটি নোটারি পাব্লিক করে আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করবেন।

নোটারি পাব্লিক

নোটারি করতে চাইলে একজন আইনজীবী লাগবে যিনি নোটারি করানোর যোগ্যতা রাখেন। অতঃপর উনি শুরুতে আপনার মৌলিক বা মূল সনদপত্র যাচাই করে দেখবেন। মৌলিক সনদপত্র বলতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, আবির্ভাব সনদ, চারিত্রিক সনদ প্রভৃতি বোঝায়।

সতর্ক থাকতে হবে, রাজধানীতে নোটারি পাবলিকের নামে চলছে অবৈধ বাণিজ্য। আদালতপাড়াসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘিরে গড়ে উঠে গিয়েছে এই বে-আইনি নোটারী বাণিজ্যের বিশাল বাজার। এজন্য খোঁজ খবর নিয়ে অথোরাইজড আদালতে দ্বারা নোটারি করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ফটোকপি নোটারাইজড করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করতে হতে পারে।

সব কথার সমাপ্ত কথা আপনি কোন রাষ্ট্র ও কোন ভার্সিটিতে পড়ছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়নের যাবতীয় বিষয়াদি।যে কোন প্রক্রিয়া শুরুর আগে আপনি আপনার লাইকের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল সাইট এবং এডমিশন কাজের জায়গায় মেইল করে কোন কোন ডকুমেন্টস কোথায় সত্যায়ন করবেন সেটা ডিটেইলস জেনে নিবেন।

আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট সমুহ লেমিনেটেড করা যাবে না । অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে ফটোকপি জমা দেওয়ার জন্য হয়। প্রধারনত অরিজিনাল কপির পেছনে এবং ফটোকপির সামনে সত্যায়ন করে থাকে।
তাহলে, প্রার্থনা করি ডকুমেন্টস সত্যায়ন নিয়ে আর কোন প্রশ্ন রইলো না। সত্যায়নের জন্য টাইম লাগতে পারে, একারণে হাতে নিয়ে সত্যায়ন করুন। কল্যাণ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

পুলিশের কোন চাকরির জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে?

বাংলাদেশ পুলিশে ৪ স্তরে নিয়োগ হয়।

১। এএসপি বা সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ হয় সরাসরি ভাবে বিসিএস দিয়ে। এরা নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি কনফার্ম হয়ে যায়।

২। এসআই বা সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ হয়ে যায় স্নাতক বা সমমানের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ এমন। এরা ৬ মাসের ট্রেনিং করার পর নিয়োগ পেয়ে থাকেন।

৩। সার্জেন্ট পদে নিয়োগ হয়ে যায় গ্রাজুয়েশন বা সমমানের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ এমন।

৪। পুলিশ প্রহরী এসএসসি বা সমমানের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ এমন। যদিও সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ার ৯৮% এইচএসসি সম্পূর্ণ করা। এরা ৬মাসের ট্রেনিং সম্পন্ন করে তারপর চূড়ান্ত নিয়োগ পাই।

উপরে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি পদ থেকে আপনি পদোন্নতি পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

পুলিশ হতে কী কী যোগ্যতা দরকার?

১। যেদিন পুলিশে ভর্তি এক্সামের জন্য কোনো পুলিশ লাইনে যাবেন, এলাকার ভিত্তিতে প্রথমেই লাইনে দাঁড় করিয়ে উচ্চতা এবং বুকের মাপ নেবে। আপনার ফ্লাট ফুট বা নক নি জাতীয় প্রবলেম বিদ্যমান কি না দেখবে। সব সঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপ, বেঠিক হলে বের করে দেবে।

২। প্রাণপণে দৌড়। প্রথম স্তরে উত্তীর্ণদের ছোট ছোট দলে অংশ করে দৌড় প্রতিযোগিতা করাবে। হোঁচট খেলে বা পিছিয়ে পড়লেই বের করে দেবে।

৩। আপনার প্রয়োজনীয় দলিল জমা করার ও লিখিত পরীক্ষায় বসার চান্স আজকাল পাবেন যদি শারীরিকভাবে সুস্থ হন।

বর্তমানে ১৮-২২ হয়তো বয়সসীমা। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। পুলিশ রেকর্ডে নাম থাকা যাবে না। এদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া লাগবে। বাদবাকি তথ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেই বলা থাকে।

পুলিশ পদে জবের আবেদন করতে কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন?

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে জবের অ্যাপ্লাই করতে শারীরিক এবং শিক্ষাগত উভয় যোগ্যতা চাই হয়। প্রাথমিক কয়েকটি বিষয় সচরাচর প্রয়োজন হয় সেগুলি হল-

১। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা আপাতত এসএসসি পক্ষান্তরে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

২। বয়স ১৮ হতে ২০ সালের মধ্যে হতে হবে।

৩। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক ও আই-বুড়ো থেকে হবে।

উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয়ের ডিটেইলস নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকবে।

পুলিশের চাকরি করতে চাইলে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন?

লিখিত এক্সামের প্রধারনত ইংরেজিতে ৫০ এবং বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন বিষয়ে ৫০, মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ইংরেজিতে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ১টি রচনা, লেটার, ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংকস থাকতে পারে। এ ছাড়া গ্রামার ভাগ থেকে প্রশ্ন থাকবে। এ জন্য পড়তে হবে অষ্টম হতে দ্বাদশ শ্রেণির গ্রামার বইগুলো। Tense, Voice, Article, Parts of speech, Correct spelling, Antonym, Narration, Translation, Noun এই অধ্যায়গুলো চর্চা করলে ইংরেজিতে ভালো করা যাবে।

বাংলা রচনা এবং কম্পোজিশন বিষয়েও সমসাময়িক ব্যাপারে একটি রচনা, একটি ভাবসম্প্রসারণ ও ১টি পল্লব লিখন থাকতে পারে। বাংলা অংশে ভালো করতে হলে ব্যাকরণ অংশে অধিক জোর দিতে হবে। এই জন্য লেখাপড়া যেতে পারে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইগুলো। ব্যাকরণ অংশে কারক, বিভক্তি, শব্দ, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, সমাস, সমার্থক শব্দ, এক কথায় প্রকাশ, অনুবাদ, বানান শুদ্ধি, বাগধারা, বাক্যসংকোচন—এই অধ্যায়গুলো ভালোভাবে পড়লে কাজে দেবে। সাধারণ জ্ঞানে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে

এ ভাগে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সমসাময়িক খবরগুলো নিজের বাধ্য করে নিতে হবে। বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ সম্পর্কে আন্দাজ রাখার জন্য হবে। বাংলাদেশ ভাগে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, নানারকম জেলার আয়তন, অর্থনীতি ইত্যাদি সম্মন্ধে পরিচিত থাকতে হবে। আর ইন্টারন্যাশনাল অংশের জন্য নানারকম দেশের মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, সাম্প্রতিক ঘটনা এসব সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো করা যাবে। এই ছাড়া গত বছরগুলোর এসআই নিয়োগের প্রশ্নগুলো সমাধান করলেও খুবই কাজে দেবে ।

গণিতে ভালো করতে হলে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির বইগুলো বারবার চর্চা করতে হবে । পাটিগণিত থেকে লসাগু, গসাগু, এক বিষয়ক নিয়ম, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত এসব অধ্যায় ভালো করে চর্চা করলে প্রশ্ন পাওয়া যাবে।

মনস্তত্ত্ব বিষয়কে হেলা করলে হবে না। সুনির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস না থাকায় বেশির ভাগ প্রার্থীই এই বিষয়ে খারাপ করে। এটি ১টি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। এই ব্যাপারে ২৫ নম্বরের প্রশ্নথাকে। এখানে মূলত পরিমান চিহ্নিতকরণ, ঝামেলার সমাধান, কমন জ্ঞান (পূর্ণ রূপ, সংক্ষিপ্ত টীকা, ঠিক উত্তর), সম্পর্ক নির্ণয় ইত্যাদি হতে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে ভালো করতে হলে গত এসআই নিয়োগ এক্সামের প্রশ্নগুলো দেখলে প্রশ্নপত্র সম্মন্ধে অনুমান পাওয়া যাবে ।

মৌখিক পরীক্ষা

  1. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরের সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই।
  2. সাধারণত প্রার্থী স্নাতক অবস্থায় যেসব ব্যাপারে পড়াশোনা করেছেন ওই বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। এ ছাড়া প্রার্থীর স্বয়ং জেলা বা থানা সম্মন্ধে ধারণা রাখা
  3. —যেমন এলাকার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম, জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, সাংসদের নাম, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা প্রভৃতি বিষয় জানা থাকে তাহলে ভালো করা যাবে।
  4. সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দেশি-বিদেশি কোনো ঘটনা, বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী সম্মন্ধে খুঁটিনাটি বিষয় জানা থাকে তাহলে মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।
  5. পাশাপাশি আচরণ, অনেক ভালো করে কথা বলা, মার্জিত পোশাক উপস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়েও স্মৃতি রাখার জন্য হবে।

পুলিশের ওসি নিয়োগ কিভাবে হয়ে থাকে?

একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), (এই নিরস্ত্র কথাটির টাকা-পয়সা অস্ত্রহীন নয়, এটা একটি ক্যাটাগরী) কে মেট্রোপলিটনে পুলিশ কমিশনার ও জেলাগুলিতে জেলার পুলিশ সুপার থানার ওসি সংখ্যায় নিয়োগ দেন। উপজেলার ওসি বা অফিসার ইনচার্জ বা ভারপ্রাপ্ত অফিসার কোন Rank নয়, কিম্বা এটা কোন পদোন্নতিও নয়- এটি একটা দায়িত্ব, একটা ম্যানেজারিয়াল পোষ্ট। তবে, দায়িত্বটা আইনগতভাবে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।

Related Post: 

Leave a Comment